গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস এমন একটি অবস্থা যেখানে পেটের পেশীগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না এবং অন্ত্রে খাবার পরিবহনে সময় নেয়। এর ফলে রোগীর পেটে ভারী বোধ, বমি বমি ভাব, বমি, গ্যাস এবং বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, ব্লুম ক্লিনিকের পুষ্টিবিদ ডাঃ অঞ্জনা কালিয়া বলেন যে এই রোগে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দিনে অল্প পরিমাণে খাবার গ্রহণ করুন:
গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস রোগীদের অল্প পরিমাণে কিন্তু ঘন ঘন খাওয়া উচিত। দিনে ৫ থেকে ৬ বার ছোট খাবার গ্রহণ করলে পেটের উপর চাপ কমে এবং খাবার সহজে হজম হয়। বড় এবং ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সহজে হজমযোগ্য খাবার খান
খাবারে নরম এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ডালিয়া, খিচুড়ি, স্যুপ, দই, সেদ্ধ শাকসবজি এবং ফলের রস রোগীর জন্য ভালো বিকল্প। অতিরিক্ত ফাইবার এবং তৈলাক্ত, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি পেটের নড়াচড়াকে ধীর করে দেয়।
প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না:
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের সাদা অংশ, ডালের জল, কুটির পনির বা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য ভালো বিকল্প হতে পারে। জল এবং তরল গ্রহণ বেশি হওয়া উচিত যাতে জলশূন্যতা না হয় এবং খাবার সহজে হজম হয়।
এই জিনিসগুলি গ্রহণ করবেন না:
অ্যালকোহল, সোডা এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলি পেটের আরও খারাপ করতে পারে। এছাড়াও, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একটি ডায়েট প্ল্যান তৈরি করা এবং নিয়মিত চেকআপ করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে, গ্যাস্ট্রোপেরেসিসের লক্ষণগুলি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং রোগী পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment